আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও তাকে গ্রেফতারের পদক্ষেপ ও মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ৩ জানুয়ারি। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে পি কে হালদারের মামলায় জারি করা রুলের পক্ষভুক্ত হতে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জল কুমার নন্দী ও সাবেক পরিচালক অমিতাভ অধিকারীর আবেদন গ্রহণ করে আদালত।
গত ২ ডিসেম্বর পি কে হালদারের বিরুদ্ধে করা এজহারের ফটোকপি এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ নথি চেয়েছিল হাইকোর্ট। বুধবার আদালতে এসব নথি দাখিল করে দুদক।
১৯ নভেম্বর পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং তাকে গ্রেফতারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- জানাতে চেয়ে দুদককে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
২১ অক্টোবর পি কে হালদারকে দেশে ফেরার অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। তবে বিমান থেকে মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ২৫ অক্টোর পি কে হালদারের আইনজীবীরা জানান, তিনি অসুস্থ। তাই দেশে আসতে পারছেন না।
দুদকের মামলায় অভিযোগ করা হয়, রিলায়েন্স ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন পিকে হালদার। এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে থাকা ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে কৌশলে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি ও তার সহযোগীরা।
চলতি বছরের শুরুতে পি কে হালদারের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এরপর তাকে আইএলএফএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়।